সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা-শিল্প মালিকদের বৈঠকে দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণের পর চা-শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। আজ রবিবার (২৮ আগস্ট) সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া, ভুরভুরিয়া ও খাইছড়া চা-বাগানে শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা গেছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেক বাগানের শ্রমিক কাজে যাননি।
ভাড়াউড়া চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়ায় চা শ্রমিকদের বাগানে পাঠিয়েছি। তারা আজ সকাল থেকে বাগানে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী সবদিক বিবেচনা করে যে মজুরি নির্ধারণ করেছেন, তাতে আমরা খুশি। এ জন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই।
ওই বাগানের শ্রমিক ময়না হাজরা বলেন, দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। এতদিন কাজ করিনি। এক বেলা খাইছি, আরেক বেলা খাইতে পারিনি না। এখন তিন বেলা খাইতে পারব।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, মালিক পক্ষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা আলোচনা করেছেন। চা শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেছেন তিনি। আমরা তা মেনে নিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি। প্রত্যেক বাগানের শ্রমিকদের কাজে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। সবাই কাজে যাচ্ছেন। আজ চা বাগানে সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। এ কারণে কিছু বাগানের শ্রমিকরা কাজে নাও যেতে পারেন। আগামীকাল সোমবার থেকে শতভাগ শ্রমিক কাজে যোগ দেবেন।
প্রসঙ্গত ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও ১৩ আগস্ট থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে আসছিলেন চা শ্রমিকরা। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও সেটা মানছিলেন না অনেকে।
চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি নির্ধারণে শনিবার (২৭ আগস্ট) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৩ জন চা-শিল্প মালিকের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে গণভবনের গেটে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস গণমাধ্যমকে বলেন, চা-শ্রমিকদের আশা প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের পক্ষ হয়ে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে মজুরি বাড়াবেন। সেটাই তিনি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী রবিবার থেকে সবাইকে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।